সম্পাদকীয়
প্রায় একবছরেরও বেশি সময় হয়ে গেল যখন শুরু করেছিলাম কবিতা
সংখ্যা দিয়ে অলিন্দ’র এই ব্লগ। এরপর ব্যস্ততা দৈনন্দিন, একে একে লিটল ম্যাগ মেলা,
বইমেলা, নতুন প্রিন্টেড সংখ্যার চাপ, দিনলিপি বয়ে যায়। মাঝে মাঝে ব্লগের কথা
আনমনে, দ্বন্দ্ব চলে নিজের ভিতর, একটা হালকা অবজ্ঞা করা বাস্তব, প্রিন্টেড না
ওয়েব, ওয়েব না প্রিন্টেড! ডিসিশন নিতে দেরি হলেও আমরা হারিয়ে না যাওয়ার চেষ্টায়।
কিন্তু কী হবে নতুন সংখ্যার বিষয়? এত এত ওয়েবে কত শত এমবি তো প্রতিদিন তো ভরে
যাচ্ছে গল্প আর কবিতায়, কোথাও বা দুর্ধর্ষ কোলাজ, উপন্যাস নিদেনপক্ষে মন ফাটিয়ে
দেওয়া মুক্তগদ্য। তবে কি হবে?
ঘুরে ফিরে চলে আসি নিজেদের বাস্তবতায়। কত শত বই যে বেরুল এই এ বছরও, তাঁর হিসেব কত জন
‘পুশি’য়ে দেওয়া পাঠকইবা রাখে! দীর্ঘশ্বাসের শব্দ জানে শুধু ঘরের দেওয়ালের কোণ আর
বইয়ের র্যাকের পিছন। ক্যুরিয়ারের খরচা বাড়ে, উত্তর আসে হাতের চেয়েও কম গোনা।
রোববারের পেপারের ভিড়ে শুধু পকেটই খালি হয়। বড় পাতায় বইয়ের ছবির শিকে তো সব
বিড়ালের ভাগ্যে জোটা সম্ভব নয়। কিন্তু পাড়ার কাকু সে কথা বুঝলেও আমি তো বুঝি না!
স্বীকার না করলেও প্রত্যেকেরই একটা ইচ্ছে থাকে নিজের
সন্তানকে অপরের চোখ দিয়ে দেখার। আর সে সন্তান যখন ছাপার কালিতে মাখিয়ে যায় তখন সে ইচ্ছেটা কিছুটা দাবিতে বদলে যায়। আর কোন দাবিই কখনও মিথ্যে নয়, না হয় সবার
হয়না পূরন সবসময়। বিষয়টা ভাবায় মানে ভাবিয়েছে মানে ভাবাচ্ছে। আমাদের জন্য মূল্যায়ন
কি সবসময় মৃত্যুর পরের অধিকার হয়েই রয়ে যাবে!!
সঠিক মূল্যায়ন কেই
বা পারে করতে! কেই বা এজীবনে সঠিক! না পারি যদি সেই অক্ষরগুলোকে যথার্থ প্রণামী
দিতে তবু শুধু চেষ্টা করে যাই তাদের কাছে মাথা নত করে নূন্যতম সন্মান টুকু জানানোর - ভাবনা থেকেই এই
বই রিভিউ সংখ্যার সূত্রপাত।
হটাত করে নেওয়া ডিসিশন আর দুমদাম কাজ শুরু। তাই বই বাছতে
গিয়ে আমরা আবার ফিরে আসি বন্ধুদের সাহায্যে। এই সংখ্যায় সাহস যুগিয়েছেন অনেকেই,
অনেকেই তাদের কিমতি সময় নষ্ট করে অনুরোধ রেখেছেন আমাদের। সকলকেই অনেক অনেক
ধন্যবাদ। তবে এই সংখ্যাটা যাকে ছাড়া সম্ভব হত না সে হল বৈদুর্য্য সরকার। মূলত ওর
সাহায্য ও উৎসাহ ছাড়া সংখ্যাটিকে বাস্তবায়িত করা যেত না। পাঠকের উৎসাহ ও সাহায্য
পেলে ইচ্ছে থাকলো ভবিষ্যতে আরও বেশ কিছু ‘বই রিভিউ’ সংখ্যা প্রকাশ করার।
No comments:
Post a Comment