[‘কাগুজে সংখ্যা থেকে’ বিভাগে মূলত আমরা রাখতে চাইছি অলিন্দ’র প্রকাশিত প্রিন্টেড সংখ্যাগুলো থেকে আমাদের ভালো লাগা এক বা একাধিক জনের কিছু লেখা। বর্তমান সংখ্যায় আমরা রাখলাম অলিন্দ’র বিভিন্ন সংখ্যায় প্রকাশিত অমিত রানা’র কয়েকটি কবিতা। প্রসঙ্গক্রমে জানিয়ে রাখি অলিন্দ’র প্রথম ছ’বছরের সম্পাদনার দায়িত্ব সামলেছেন অমিত রানা।]
জন্ম বৃত্তান্ত
কিছু জন্ম অবাস্তব, কিছু জন্ম
শাড়ীর মতো সুন্দর।
মাটির ভিতর ঢুকে যাওয়া মুখ
বইমেলা প্রেম,
ঠোঁট চুমু তারিখ
এবং
নিছক একটা সংকল্প
সবটাই জন্ম বৃত্তান্ত।
(নভেম্বর ২০১০)
সংসার
একদিন সম্পর্কটা পুকুর হয়ে উঠবে
ঝোপ জঞ্জাল, আস্তাকুড়
গায়ে মেখে নেমে যাব জলে
কানের পাশে গজিয়ে উঠবে
সংসার
এদিক থেকে সেদিক ছড়িয়ে
থাকবে রান্নাঘর
থাকবে সম্বোধনের আগুন
থাকবে খাবার
থাকবে পেট ভরে খাইয়ে দেবার লোক।
(নভেম্বর ২০১০)
রসগোল্লা
আগবাড়িয়ে সবকিছু বলতে নেই
প্রথম দেখাতে না বললে
চটজলদি বোঝাতে নেই
ফাটাফাটি ভালবাসা ছিল মনে
সময় ফল মিষ্টান্ন হলে
দেখাতে নেই
তিনশো দুই সুগার
ঝাক্কাস শিল্পী না হয়ে
খুলতে নেই দশ বিশটা শিল্পায়ন।
(জানুয়ারি ২০০৯)
ডাকনাম
যদি ফিরে আসতে পারিস
তবে অনেকটা জায়গা দেব
কুয়াশা মাখা চাদরের নীচে,
খড়কুটো আর চাদর দিয়ে
বানিয়ে দেব আস্ত একটা পাতার ঘর।
কৃত্রিম ফুসফুস, লালচে দেওয়াল
আর কাগজের ঈশ্বর
সবাই ঠাসাঠাসি করবে
এক ছাদের তলায়।
যদি ফিরে আসতে পারিস
তবে চাদরের নীচে থাকবে যাদুকরের শহ
কবির রক্ত দিয়ে দেওয়ালে লেখা থাকবে
বিপ্লবের ডাকনাম।
(জানুয়ারি ২০১৩)
বন্ধুত্ব ১০
মৃত সব বন্ধুত্ব চলে গেছে অনেক দূরে
যেখান থেকে পিছন ফিরে তাকালেও
ভূপৃষ্ঠে দেখা যায় না কোন বন্ধুত্বের ছাপ।
নতুন কিছু বন্ধুত্ব উঠে আসে চিলেকোঠায়
জানালার ভাঁজ খুলে বেনুনী চুল মেতে ওঠে
প্রশ্ন প্রশ্ন খেলায়
আর তক্ষুনি বাইরের ঘরে
লুটোপুটি খায় রোদ
গাছেদের ছায়া ছড়িয়ে পড়ে
বন্ধুত্বের চাদরে।
(জানুয়ারি ২০১০)
Protyekta kobitai darun laaglo.
ReplyDelete