Thursday, April 9, 2015

ফিরে পড়া - মৃন্ময় ভৌমিক-এর “হ্যাঁ কিংবা না”



[মৃন্ময় ভৌমিক-এর কাব্যগ্রন্থ “হ্যাঁ কিংবা না” প্রকাশিত হয় কলকাতা বইমেলা ২০০৯ এ। মৃন্ময়ের সেই তিন ফর্মার কাব্যগ্রন্থ থেকে আমাদের ভালো লাগা কিছু কবিতা প্রকাশ করা হলো এই ‘ফিরে পড়া’ বিভাগে শুধুমাত্র এই উদ্দেশ্যে যে কবিতাগুলি আরও বৃহত্তর পাঠক সমাজের কাছে পৌঁছবে এবং বিভিন্ন পাঠ প্রতিক্রিয়া কবিকে ঋদ্ধ করবে]



হ্যাঁ

ঈশ্বরকে ছুঁড়ে মারা আমার সমস্ত ইট পাটকেল
আজ গ্রহ হয়ে ঘুরে বেড়ায় রাতের বেলা
জানি কিচ্ছু নেই
কিছুই থাকে না আজীবন মনে
আমি তাও টুকরো হয়ে যাই
অন্ধকারে-তোমার চুম্বনে...



হিংসা

আমি তোমার সামনে যাওয়ার আগেই
ফ্লাইওভার গিয়ে দাঁড়ায় ।
কারণ-
শহরে যত জায়গায় তিনি আছেন
তত জায়গায় আমি নেই।

তোমার জন্য রাস্তার পাশে দাঁড়ালেই
ভ্যাপার জ্বলে ওঠে।
কারণ-
একটা ল্যাম্প পোষ্ট যত দাঁড়াতে পারে
আমি পারি না।

আমি তোমাকে কাছে পেতে গেলেই
হাতের কাছে আসে
বাজার, হসপিটাল, এমনকি রেলের লাইন


তুমি শুধু দূরে চলে যাও
কাটা পড়ে এক একটা দিন।



আব্দার

বলো, কাল সকালেই তুমি বেড়াল করে দেবে আমাকে
দুধ মাছ খাওয়াবে
বলো, দুপুরে করে দেবে কুকুর
আমি ফ্রিজের তলায় ঘুমোতে ঘুমোতে রাত হয়ে গেলে
শোওয়ার আগে করে দেবে বাঘ
বিছানায় করে দেবে জঙ্গল
তারপর-হালুম হালুম করলেও
আঁচড়ে কামড়ে দিলেও
এমনকি তোমাকে খেতে চাইলেও
বলো, কোনোদিন ইঁদুর করে দেবে না!



নায়ক

ঐ লোকটাকে একদম মানায় না তোর পাশে
জাস্ট একটা চান্স দিয়ে দ্যাখ
দ্যাখ কতটা পারফেক্ট হতে পারি...

সবাই গিফট পাঠাবে মেসেজ পাঠাবে
যারা টিটকিরি দিত তারাও বলবে জিও

আমি কাউকে পাত্তা না দিয়ে
একটা রিক্সা ডেকে তোকে নিয়ে উঠে পড়ব
কোন ঠিকানা নয়
শুধু বলবো
চালাও...



প্রিয় বান্ধবী টুয়া

এই রকম অনেক ঘটনা
দূরপাল্লার বাস ধরে চলে যায়।

এইরকম অনেক
অটোরিকশার মত মানুষ
চলে আসে কাছে।

এইরকম অনেক শরীরে
আমি উঠে গেছি সাড়ে দশটায়
হ্যাঁ হ্যাঁ অনেকটা এইরকম দেখতে
আমার বান্ধবী টুয়া।


ফুলশয্যা

পিঠের মধ্যে টুকরো হচ্ছে ঢেউ
চুলের মধ্যে আটকে যাচ্ছে কাদা
পৃথিবীর সব রাত্রির রং এক
শরীর শুধু শরীর দিয়ে বাঁধা

চাঁদ উঠেছে ফুল ফুটেছে ঠিক
এখন শুধু তারা খসার ভয়
আজকে রাতে চৌরাশিয়ার হার
আজকে রাতে বিসমিল্লার জয়

No comments:

Post a Comment