আজকের পরিস্থিতিটা ঠিক দশ বছর আগে ২০০৫ এর জানুয়ারির সেই দিনটার মতো যেদিন অলিন্দ'র প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়। সেদিন আমরা সঠিক ভাবে জানতাম না যে একটা লিটল ম্যাগকে আসলে খায় না মাথায় দেয়? জানতাম না তার সঠিক শারীরিক গঠন এমনকি সঠিক প্রয়জনীয়তাও। ঠিক একই ভাবে আজ এই ব্লগজিনের প্রথম সংখ্যা প্রকাশের মুহূর্তে আমার জানা নেই একটি সুন্দর ব্লগ তৈরী করার নিয়ম কানুন, যেমন জানা নেই এত ভালো ভালো চলতি ব্লগ থাকতেও আমাদের এই ব্লগের প্রয়জনীয়তা? তবুও আমি প্রকাশ করলাম এই ব্লগ তারও একমাত্র কারন আমি। এতদিন ধরে বহু চেষ্টা করেও বছরে একটির বেশি অলিন্দ'র সংখ্যা প্রকাশ করতে পারছিলাম না। কিন্তু প্রতি মুহূর্তেই চাইছিলাম আরও কয়েকটি সংখ্যা করতে, আরও অনেককে লেখার সুযোগ করে দিতে, অলিন্দ'র পাঠক সংখ্যা আরও বাড়াতে। আর তাই নানান দিক বিচার করে আমায় এই ব্লগজিনকেই বেছে নিতে হল। বছরে প্রিন্টেড ভার্সানে অলিন্দ'র একটি সংখ্যা যেমন প্রকাশিত হচ্ছিল তেমনটাই থাকবে তার সাথে এখন থেকে বছরে আরও কয়েকটি সংখ্যা প্রকাশিত হবে এই ব্লগিজন আকারে।
প্রথম প্রস্তুতি সংখ্যার বিষয় হিসবে আমরা বেছে নিলাম কবিতাকে। তার প্রথম কারন হিসেবে বলা যায় যে শুধু কবিতা নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে আমাদের অনেকদিনের আর তাই ব্লগজিনের শুরুতেই আমরা সেই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে চাইলাম। যদিও এই সংখ্যাটি একটি কমপ্লিট কবিতা সংখ্যা হিসেবে আমাদের আত্মতুষ্ট করেছে এমনটা মোটেও নয়। আমাদের অনেক অজ্ঞতা, তাড়াহুড়ো ও অন্যান্য কিছু কারনে সংখ্যাটির পুর্নাঙ্গ বিস্তৃতি সম্ভব হল না। পরবর্তীতে আমরা কবিতা নিয়ে কাজ করে যাব ক্রমাগত ব্যবধানে, এবং আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন এই আশা, আশা করি রাখতে পারি? আপাতত আপনার প্রবেশ ঘটুক আমাদের প্রথম সংখ্যায় এবং দয়া করে আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে সাহায্য করুন লেখক ও সম্পাদককে। ধন্যবাদ।
সুপ্রিয় সাহা