ফুড়ুৎ
ক্লান্তিহীন তুমি পার করেছো সাতাশ বসন্ত
পঞ্জিকা উলটাতে থাকি কোথায় মাহেন্দ্রক্ষণ?
গ্রহণ চাঁদের ঘরে তোমার হেঁটে যাওয়া
জলছাপটুকু গড়িয়ে পড়ছে
জানু বেয়ে পায়ের পাতায়।
টুকরো মেঘে লিখে দাও প্রেম- লিপি
সুন্দর হস্তাক্ষরে গুচ্ছ গুচ্ছ মুক্তো-কণা!
সাতাশ বসন্ত আমি ও গ্রহণ কাল চটকে
কলঙ্ক তিলের নাড়ু বানিয়েছি আহ্লাদে ।
নদী ভিজেছে উপহাসের রাতে,
বুঝতে পারছি না আজ ও সেই ভাবে
ভালোবাসা বাঁচে কিনা ,নিঃস্বার্থ।
শুনেছি ভালোবাসাথে নাকি পাখির জাত
অনুভব করতে হয় দূর থেকে
ছুঁয়ে দেখতে চাইলেই ফুড়ুৎ।
উদযাপন
এত কাছে শ্বাসবায়ুর শীতলতা
পাশটিতে বসি জুতসই ,
গল্পগুলো গাছ হলে প্রেমিক হয় মেঘলা বিকেল ।
ধককরে উঠলো ভেতরটা ,তোমার চোখে
ব্রহ্মাণ্ডের ছবি ,সেই অজান্ত-ইলোরার
ভাষা সুখের কথা বলে।
কালিদাসের পদাবলী উপকথায় হৃদি-ঝোরার উৎসমুখ।গ্রীবা তোলে মরুভূমি- জাহাজ ,
জলে নৌকো ভাসাতে চেয়ে
পিপাসা প্রণয়ী অরণ্য ভূমি ।
খসে পড়া মৃত্যু- পরীর হাঁমুখ গলে
আবার ও নবজেন্মর বৃক্ষ-ধরলো কদম-কুঁড়ি ।
অসুখ
হে জনগণমন ঈশ্বর হিংসার গরলে জ্বলছে
শতাব্দীর বোতাম খোলা আদমসুমারি,
অন্ধকার উল্লাসে অন্তর্গত কামনা বাসনার
রক্তাল্পতায় ভোগেন ভাষা- ঈশ্বরী।
দুহিতা
মূহুর্তের সহজ উপমা আঁকলে উছলে পড়ে নাভিপদ্ম,
অন্ধকারের সুচাগ্র বোধটিও অস্পষ্ট হয়।
নাড়ি ছেঁড়া আলোর কণা নীড়-বাঁধে জল-শরীরে,
সতর্ক রশি দিয়ে তুলেছি তাকে রক্ত- গানে।
সে তরঙ্গ আমার । বুকের পালকে উষ্ণতার ওম্।
আমাকে শেখায় কিভাবে ভালোবাসার নিপুণ
শৈলী উন্মুক্ত করে সারস্বত- অলংকার
অষ্টবসুর আলো ,জীবন নক্ষত্র, সেই স্নেহ-সোহাগ
তরলে ডুবে দিয়ে আমার মুক্তিস্নান!!
নির্বাসন
এই তো বেশ আছি নির্বাসনে
আশ্বিনের মেঘ-স্রোতে ঢেউ ভাঙছে সমুদ্র ।
রোদের আলজিভ ছুঁয়ে চিলের উড়ান ,
শহুরে ভিড়ে মিশে যাচ্ছে
কালো বিড়ালের চোখ ,ক্রমশ
ছমছমে গলিপথের দিকে-----
শোকের কান্নায় কেউ আঁকছেন
পরবর্তী কাব্যগ্রেন্থর প্রচ্ছদ ।
উলঙ্গ শ্যামার চোখের জলে
ভিজে যায় রামপ্রসাদী-বেড়া।
No comments:
Post a Comment